প্লাগিন হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের এমন একটি টুলস যা কিছু নির্দিষ্ঠ ফাংশনাল কমান্ড ব্যবহার করে ইউজার এর কাজের চাহিদা পূরণ করে থাকে। আর ওয়ার্ডপ্রেস এর সফলতার এবং জনপ্রিয়তার জন্য প্লাগিন এর অবদান সবচেয়ে বেশি। প্লাগিন দিয়ে আপনি চাইলেই আপনার সাইটের পুরো কাঠামকেই নিয়ন্ত্রন করে নিতে পারেন। আপনি চাইলে প্লাগিন দিয়ে আপনার সাইটের লিখা/পোস্টগুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। এককথায়, আপনি যেমনটা চাইবেন সেই ধরনের অসংখ্য প্লাগিন ওয়ার্ডপ্রেসের অফিসিয়াল প্লাগিন ডিরেক্টরিতে http://wordpress.org/extend/plugins/ খুঁজে পাবেন।
তবে, অনেক সময় আপনার অথবা যারা ফ্রীলান্সিং করেন আপনার আপনাদের ক্লাইন্টের চাওয়ামত কোন প্লাগিন নাও পেতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি প্লাগিন ডেভেলপার হন তবে আপনার বা আপনার ক্লাইন্টের চাহিদা মত প্লাগিন তৈরি করতে পারবেন। এতে করে আপনার ক্লাইন্ট থেকে বাড়তি অর্থ আয়ও করতে পারবেন। তাছাড়া বর্তমান ফ্রীলান্সিং যেকোনো সাইটে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের চাহিদা এবং ডিমান্ড অনেক উপরের দিকে।
ফেসবুকে ওয়ার্ডপ্রেসের সবচেয়ে বড় এবং অ্যাক্টিভ কমিউনিটি গ্রুপ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে বাংলা ভাষায় ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট ইবুক।
বইটি কাদের জন্য?
আপনি যদি এই বইটি ডাউনলোড করে থাকেন তবে ধরে নিচ্ছি আপনি ওকজন ওয়েব ডেভেলপার এবং সাথে আপনার কিছু পিএইচপি প্রোগ্রামিং জ্ঞান আছে। কারণ, পিএইচপি প্রোগ্রামিং জ্ঞান ছাড়া আপনি কখনই ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন না। পিএইচপি প্রোগ্রামিং জানতে হবে কারণ, ওয়ার্ডপ্রেস ইঞ্জিন সম্পূর্ণভাবে পিএইচপি দিয়ে তৈরি। এই বইটি মূলত তাদের জন্যই যারা ফ্রীলান্সিং করেন তাদের স্কিল্ড পোর্টফলিও আছে এবং ওয়ার্ডপ্রেসের ফাংশনালিটি বুঝেই কাজ করেন।
সংক্ষিপ্ত সূচিপত্রঃ
অধ্যায় ১ – সূচনা,
অধ্যায় ২ – প্লাগিনের গঠন,
অধ্যায় ৩ – হুকস,
অধ্যায় ৪ – প্লাগিং কোডিং স্ট্যান্ডার্ড,
অধ্যায় ৫ – ওয়ার্ডপ্রেসের সাথে ইন্টিগ্রেশন,
অধ্যায় ৬ – প্লাগিন ফাংশন,
অধ্যায় ৭ – প্লাগিন সিকিউরিটি,
অধ্যায় ৮ – লোকালাইজেশন এবং সেটিংস API,
অধ্যায় ৯ – প্লাগিন এক্সাম্পল।
ভাল লাগলো আপনার সাইট।