comapny blog

কোম্পানীর সাফল্যের “কোম্পানী ব্লগ” ভূমিকা!

Print Friendly, PDF & Email

SEO এর প্রধান উপাদান হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং, উন্নত লিখা এবং তা নামিদামি ব্লগ এ প্রকাশ করা। এটা যে আপনাকে শুধু কোম্পানীকে সামনে এগিয়ে নিতেই সাহায্য করবে তা নয়, এটি ভবিষ্যতে আপনাকে এবং আপনার ব্লগকে অন্য ব্লগ এবং ব্লগারের নিকট সচেতনতা গড়ে তুলবে এবং পাশাপাশি আপনার ব্লগের জন্য মিলিয়ন টন ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করে দিবে। তাই বর্তমান যুগে প্রায় প্রতিটি কোম্পনী-ই তাদের ব্যান্ড নামে অন্তত্য একটি করে ব্লগ খুলছেন তাদের পন্য, সেবা, এবং ভোক্তাকে তাদের পন্য সম্পর্কে আগাম খবর দেয়ার জন্য। এটি একদিকে যেমন কোম্পনীর বিজ্ঞাপন ও পন্য বাজারজাত হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে ভোক্তারাও কোম্পনীর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। যদিও এখানে দুই পক্ষই লাভবান হচ্ছেন, কিন্তু তারপরেও হিসাব গুনলে দেখা যাচ্ছে ব্লগ ব্যবসায়ীরাই বেশি লাভবান। 😀

comapny blog

কারন কি জানতে পোষ্টটি পড়ুন….

এখানে কোম্পানী ব্লগ করার কিছু কারন উল্লেখ করা হল, যদি আপনি ইচ্ছুক হন তবে…

১. একটি ব্লগ আপনাকে প্রতি পোষ্টেই কিছু নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড এর সুযোগ করে দিবে। এটি আপনাকে সরাসরি নিশ্চিত করে দিবে এমন কিছু কিওয়ার্ড যা কিনা আপনার ব্লগকে এবং আপনার পন্যকে অতি দ্রুতই ভোক্তার নিকট সমাদিত করবে। যেহেতু আপনার ব্লগের কিওয়ার্ডে মূল বিষয়-ই হবে আপনার পন্যকে কেন্দ্র করে, তাই আপনি অপেক্ষাকৃত কম সময়েই সফল হতে পারবেন।

২. কোম্পানী ব্লগ আপনাকে এবং আপনার ব্লগকে নতুন ব্যক্তিত্ব দিবে, এটিকে কেন্দ্র করে আপনি আপনার ভোক্তাদের সাথে ভাল যোগাযোগ সম্পর্ক গড়তে এবং তাদের থেকে আপনার পন্যের সঠিক গুনাগুন এবং ভবিষ্যতে আরো ভালো পন্য সেবা দেয়ার অনুপ্রেরণা পাবেন।

৩. ব্লগ এমন একটি মাধ্যম, যেখানে আপনি পুরাতন পণ্যের আপডেট খবর নিমিশেই প্রকাশ করতে পারেন ভোক্তোর সামনে। আগাম নিউজ প্রকাশের মাধ্যমে অগ্রিম ব্যবসায়িক ফায়দা নিতে পারেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিদিন বা প্রতি ঘন্টার খবর প্রকাশ করাতে পারেন ব্লগে। এটি যেমন আপনাকে একদিকে পন্যের প্রচারে সাহায্য করছে তেমনি ব্লগ প্রতিনিয়ত আপডেট থাকার কারনে সার্চ ইজ্ঞিনগুলো আপনাকে অতিরিক্ত ভিজিটর এবং রাঙ্কিং দিবে।

৪. একটি কোম্পানী ব্লগ আপনার শ্রম শক্তি হিসাবে কাজ করবে। যদি আপনি নিজেই আপনার ব্লগের কন্টেন্ট লিখেন এবং তা অন্যেদেরও বৈধ্যভাবে ব্যবহারে অনুমতি দেন তবে, এটি আপনাকে আপনার ভোক্তার সামনে বিশ্বাসভাজন হতেও সাহায্য করবে। সময়ের সাথে সাথে আপনার ব্লগটি তথ্যের কেন্দ্র হয়ে পরবে, যা কিনা আপনাকে এবং আপনার ব্লগকে অন্যান্য ব্লগ এবং আর্থারদের নিকট শ্রদ্ধা ও সম্মানিত করবে। চূড়ান্ত ফলাফল হিসাবে আপনি ব্যবাসায়িক সাফল্য এবং সম্মান সবকিছুই অর্জন করবেন।

৫. উপরে বলেছি , একটি কোম্পানী ব্লগ আপনার এবং আপনার ভোক্তাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। আপনি আপনার ভোক্তাদেরকে আমন্ত্রন করেন অতিথি পোস্ট লেখক হিসাবে। এতে করে তারা আপনার সাথে আরো খোলামেলা ব্যবসায়িক ব্যপারে কথা বলতে আগ্রহী হবে। আপনিও লিখেন তাদের ব্লগে গিয়ে ফলে আপনাদের সম্পর্ক অনেকটা মজবুত হবে। এই ধরনের সম্পর্ক ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করতে অনেকটা সাহায্য করে, শুধু তাই-ই না দুইটি কোম্পানীর মাঝে সহকর্মী-সহযোগী হিসাবে কাজ করতেও অনুপ্রাণিত করবে।

এখন কথা হচ্ছে আপনার কোম্পানী এর ব্লগ আছে, কিন্তু এখানেই সবকিছু শেষ নয়। এ সবকিছুর পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে পারলে তবেই সফলতা। যেমনটি আপনার ব্যক্তিগত ব্লগ এর ক্ষেত্রে আপনি যদি মাসে একটি পোষ্ট করেন তবে এর থেকে সাফল্য লাভ হবেনা। এটা শুধুমাত্র সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুইনা। চেষ্টা করুন সপ্তাহে অন্ত্যত ২টি এবং মাসে অন্তত্য ৮-১০ টি পোষ্ট করার। তবেই না আপনার ব্লগ এর ভিজিটররা আপনাকে এবং আপনার পণ্যকে মূল্যায়ন করবে সম্মানের চোখে।

আশা করি আপনাদের বুঝাতে সমর্থ হয়েছি।

সকলে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 🙂

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.