কেনও ব্যবহার করবেন ওয়ার্ডপ্রেস এবং কেনও হবেন একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার?

Print Friendly, PDF & Email

বর্তমানে ওয়েবসাইট ছাড়া একটা প্রতিষ্ঠান কল্পনা করা যায়না, শুধু প্রতিষ্ঠান কেন যেকোন উদ্যগের পিছনেই ওয়েবসাইট থাকা বাঞ্ছনীয় হয়ে দাড়িয়েছে । কিন্তু সবাই তো কোডিং জানেনা তবে কিভাবে তাদের সাইট মেনেজ করবে?
এখানেই এসে দারিয়েছে শত শত কন্টেন্ট মেনেজমেন্ট সিস্টেম বা সিএমএস( CMS ) যা দিয়ে খুব সহজেই আপনি আপনার সাইটের কনটেন্ট মেনেজ করতে পারবেন ।
ওয়ার্ডপ্রেস ও এমনই একটি সিএমএস যেটা ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার সাইটের দেখাশোনা করতে পারবেন কোন কোডিং জ্ঞান ছাড়াই ।
চলুন দেখে নেই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের অল্প কিছু কারন 🙂

১। খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস সেটাপ, আপডেট এবং মেনেজ করতে পারবেন । আগেই বলেছি এর জন্য আপনার নুন্যতম কোডিং জ্ঞান এর ও দরকার নাই । শুধু বাটন এ ক্লিক করা জানলেই হবে ।

২। আপনি হয়ত ওয়ার্ডপ্রেস এর নাম জনপ্রিয় ব্লগিং সিএমএস হিসেবে শুনে থাকবেন কিন্তু বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যেকোন সাইট বানাতে পারবেন । আপনার পছন্দমত ব্লগ বা পোর্টাল সাইট অথবা দুটো একসাথেই বানাতে পারবেন । একের ভিতর দুই যাকে বলে ।

৩। ওয়ার্ডপ্রেসের হাজার হাজার প্রফেশনালি ডিজাইনড থিম আছে এবং এর অনেকগুলোই ফ্রি যেগুলো দিয়ে আপনি প্রফেশনাল মানের সাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন নিজেই, কোন ডেভেলপার কে হায়ার না করেই । ওয়ার্ডপ্রেস এর অফিসিয়াল থিম ডিরেক্টরি তে হাজারের উপর ফ্রি থিম আছে এবং আরো অনেক থিম মার্কেটপ্লেস আছে যেখান থেকে থিম কিনে ব্যবহার করতে পারেন । গুগলে সার্চ দিয়েই দেখুন ।

৪। থিমের ফাংশনালিটির বাইরে কোন ফিচার এড করতে চাইলে কি করবেন?
ভয়ের কিছু নাই, এর জন্য ও আছে হাজার হাজার প্লাগিন যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার সাইট কে অন্য লেভেলে নিয়ে যেতে পারেন কোন কোডিং ছাড়াই ।  নিমেষেই বানিয়ে ফেলতে পারেন ইকমার্স বা সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের মত এডভান্স সাইট ।

৫। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা বাড়িয়ে বলার দরকার নাই, আর একটি ওয়ারডপ্রেস সাইট এমনিতেই সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি । এছাড়া ” free Yoast SEO plugin” এর মত প্লাগিন ব্যবহার করে আরো সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করে তুলতে পারেন আপনার সাইট ।

৬। যেহেতু ওয়ার্ডপ্রেস অনেক পপুলার তাই এর থিম এবং প্লাগিন এর অভাব নাই । ২০% এর ও বেশি সাইট বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস পাওয়ারড । সো বুঝতেই পারছেন ইউজার এবং সাইট ওনার সবাই খুশি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে ।

৭। ওয়ার্ডপ্রেস এর অনেক কমুউনিটি আছে যেগুলোতে আপনি যেকোন প্রবলেম এর সল্ভ পাবেন, পাবেন ওয়ার্ডপ্রেসের বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা এবং ওয়ার্ডপ্রেস এর নিজস্ব ফোরামও আছে এই কাজের জন্য ।

৮। বর্তমানে মোবাইল ইউজার এর সংখ্যা তুমুল গতিতে বেড়েছে ফলে সাইটকে মোবাইল ফ্রেন্ডলি হতেই হবে, যাতে আপনার সাইটটি মোবাইল ডিভাইস এ ঠিক থাকে । বর্তমানে মোটামুটি সব থিমই রেস্পন্সিভ করে বানানো হয় বা মোবাইল সাপোর্ট রাখা হয় সুতরাং আপনি মোবাইল ইউজারদের কাছেও আপনার সাইট কে তুলে ধরতে পারতেছেন। ওয়ার্ডপ্রেস এর ড্যাশবোর্ড মোবাইল  থেকেও ব্যবহার করতে পারবেন ফলে যেখানেই থাকুন না কেন আপনি আপনার মোবাইল থেকেই সাইট মেনেজ করতে পারবেন ।

৯। ওয়ার্ডপ্রেস প্রায় ১১ বছর পার করে এসেছে এবং এই সময়টাতে ডেভেলপারদের ম্যাগনিফাইং গ্লাসের নিচে থেকে অন্যতম সিকিউর এবং স্টাবল প্লাটফর্ম এ পরিনত হয়েছে ।

১০। এবং অফকোর্স ওয়ার্ডপ্রেস একটি ওপেনসোর্স এপ্লিকেশন ফলে আপনি ইচ্ছেমত একে ব্যবহার করতে পারেন কোন রেস্ট্রিকশন ছাড়াই ।

সো ওয়েবসাইট যাদের প্রয়োজন তারা বুঝতেই পারছেন এর গুরুত্ব এবং ডেভেলপাররা আপনারা বুঝতেই পারছেন এই জনপ্রিয় এপ্লিকেশনটির ডেভেলপারদের চাহিদা 😉

 

Sources:

1. http://wpapprentice.com

2. http://codex.wordpress.org

3. https://wordpress.org/support

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.