- ইকমার্স বিজনেসের নামে ডোমেইনঃ ডোমেইনের নাম নির্বাচন
- ইকমার্স বিজনেসের নামে ডোমেইনঃ জেনে নিন ১০টি সুবিধা/উপকারিতা!
- ইকমার্স বিজনেসের নামে ডোমেইনঃ জেনে নিন কেনার পূর্বে ১০ট আবশ্যিক সতর্কতা!
- ইকমার্স বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিংঃ হোস্টিং কি এবং কেনার পদ্ধতি
- ইকমার্স বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিংঃ জেনে নিন ১০টি সুবিধা/উপকারিতা!
- ইকমার্স বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিংঃ জেনে নিন কেনার পূর্বে ১০ট আবশ্যিক সতর্কতা!
নিজের উদ্যোগকে ইকমার্সে রূপান্তর করার কথা ভাবছেন? আপনি কি জানেন উদ্যোগকে ইকমার্সে রূপান্তর করার জন্য কি কি পদক্ষেপ দিতে হয়?
আপনার প্রিয় উদ্যোগকে ইকমার্স বিজনেসে রূপান্তর করার প্রথম ধাপে আপনাকে ডোমেইন নির্বাচন করতে হবে। উদ্যোগের নামে ডোমেইন নেয়ার ১০টি উপকারিতা বা সুবিধা আছে। এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে সেই ১০টি উপকারিতা বা সুবিধা শেয়ার করবো।
সুবিধা বা উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে চলুন সংক্ষেপে জেনে নিই ডোমেইন সম্পর্কেঃ
ডোমেইন কি?
ইন্টারনেটে কোন একটি ওয়েবসাইটের নাম বা ঠিকানাকে ডোমেইন বলা হয়। যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রবেশ করে তথ্য দেখা এবং সংগ্রহ করা যায়। যেমনঃ microsoft.com, facebook.com, google.com, rangpursource.com ইত্যাদি। তবে, microsoft, facebook, google বা rangpursource শুধু এই অংশটি হচ্ছে ডোমেইনের নাম। অন্যদিকে .com অংশটিকে ডোমেইন এক্সটেনশন। ডোমেইনের আরও এক্সটেনশন আছে, যেমনঃ .net, .org, .info, .ac সহ আরও অনেকগুলো। ডোমেইন এক্সটেনশন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পাবেন – https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_Internet_top-level_domains লিঙ্কে। প্রতিটি ডোমেইন কমপক্ষে ১ বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, যা পরবর্তীতে রিনিউ করে চালানো যায়। সারা বিশ্বে যতগুলো ডোমেইন আছে এবং প্রতিনিয়ত রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে প্রতিটি-ই ইউনিক।
.com, .net, .org, .info ডোমেইনগুলোকে সংক্ষেপে বলা হয় TLD বা Top Level Domain, এই ডোমেইন গুলো কোনটাই ফ্রি না। আপনি যেটাই ক্রয় করুণ না কেনও এক্সটেনশন টাইপ, সময় এবং কোম্পানি ভেদে আপনাকে নূন্যতম ৮০০ টাকা থেকে ৩/৪ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে। বিভিন্ন দেশে অনুযায়ী কান্ট্রি স্পেসিফিক ডোমেইন আছে, যেমনঃ বাংলাদেশের জন্য .bd, ইংল্যান্ডের জন্য .uk ইত্যাদি।
আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের পূর্বের পোস্টটি পড়ুনঃ
এবার ডোমেইন থাকার সুবিধা বা উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাকঃ
১। ডোমেইনের নাম দিয়ে ব্র্যান্ডকে পরিচয় করানোঃ
ডোমেইন, এমন একটি মাধ্যম যা দিয়ে সারাবিশ্বে আপনাকে এক নামে চিনবে ও জানবে। আপনি যে নামে ডোমেইন কিনে ফেলবেন, সেটা হবে ১০০% ইউনিক। ঐ নামে আর কেউ ডোমেইন নিতে পারবে না যতদিন আপনি সেটা ছেড়ে দিচ্ছেন না। আমি পূর্বে বলেছিলাম ফ্রি-তে ৫টি ওয়েবসাইট করার প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে। সেগুলোর মধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে, আপনি নিজেকে এবং নিজের উদ্যোগকে ইউনিক বা স্বতন্ত্র রাখতে পারবে না। কারণ, ৫টির মধ্যে যে প্ল্যাটফর্মেই আপনি ওয়েবসাইট ওপেন করেন না কেনও সবাই তাঁর নিজ নিজ সাব-ব্র্যান্ডে আপনাকে ডোমেইন দিবেন। যেমনঃ aishaon.wordpress.com – এখানে wordpress.com নিজেই একটা ব্যান্ড। তাহলে কি আপনি নিজের স্বতন্ত্রতা পেলেন? না।
এই সতন্ত্রতার জন্যই আপনাকে নিজের ব্র্যান্ডে ডোমেইন কিনে নিতে হবে। সেটাও তো খুব বেশি দামের না। ১০০০ থেকে বড় জোর ৩/৪ হাজার টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
২। সামজস্যপূর্ন ডোমেইন নামঃ
ডোমেইনের নাম বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সার্ভিস বা প্রোডাক্টের নামের সাথে মিল রেখে নেয়া হয়। এতে করে যে কেউ সেই নামটি দেখলেই একবারেই বুঝে যাবেন, আপনার উদ্যোগ কি ধরণের সার্ভিস বা প্রোডাক্ট সরবরাহ করছে।
তবে, এটা সব উদ্যোগের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য না। যেমনঃ আমার উদ্যোগের / ব্যবসায়ের নামে “রংপুরসোর্স”। এটা দেখে কারো বুঝার উপায় নাই যে এখানে আসলেই কি করা হয়, যদি না আমি বলে দেই যে আমরা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডোমেইন হোস্টিং, ফেসবুক বুস্টিং এবং বাল্ক এসএমএস সার্ভিস দিচ্ছি।
আসলেই ব্যাপারটা ডিপেন্ড করে আপনার ইচ্ছার ওপর। আপনি চাইলে প্রোডাক্ট / সার্ভিস অনুযায়ী নাম দিতে পারেন, অথবা অন্য কোনও ব্র্যান্ড-এ্যাবল নামও দিতে পারেন। তবে, যেটাই দেন না কেনও, একটি সামজসসপূর্ন ডোমেইন নাম আপনার উদ্যোগকে অনেক থেকেই এগিয়ে রাখবেন। তাই ডোমেইন নাম নির্বাচনের সময় আমাদের এই ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখতে হবে।
৩। সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পেতে সহায়তাঃ
আপনার ব্র্যান্ড / উদ্যোগের নামে ডোমেইন থাকলে সেটি আপনার জন্য অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট। কারন এই ডোমেইন নাম দিয়েই বড় বড় সার্চ ইঞ্জিনে (যেমনঃ গুগল, বিং, ইয়াহু) আপনার ব্র্যান্ড / উদ্যোগকে / ব্যাবসায়কে অনলাইনে খুঁজে পাবে। যা আপনার উদ্যোগকে পটেনশিয়াল কাস্টমার পেতে সহায়তা করবে। সেখানে থেকে আপনি পেয়েও যেতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত কাস্টমারকে।
৪। পারফরমেন্সঃ
প্রথম পয়েন্টেই বলেছি, আপনি যতদিন আপনার ডোমেইন নামটি নিজে থেকে ছেড়ে না দিবেন, ততদিন সেটি আপনার! এখন ভাবুন, আপনি যদি ১০/২০ বছরও ব্যবসায় করেন। তাহলে সেই ১০/২০ বছরে সেই ডোমেইনটি আপনাকে কতদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা যারা ব্যবসায় করি, একটা কথা আমরা সবাই জানি, ব্যবসায়ের দলিলপত্র, যেমনঃ ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট, ট্যাক্স, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যত পুরাতন হবে, আপনার ব্যবসায়ের ভ্যালু তত বৃদ্ধি পাবে।
এই একই কথা প্রযোজ্য ডোমেইন নামের ক্ষেত্রেও। ডোমেইন নাম যত পুরাতন এবং সক্রিয় বা অ্যাক্টিভ থাকবে, আপনার ব্যবসায়ের অনলাইন ভ্যালু ততই বৃদ্ধি পাবে। স্পেশালি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে। তাই, ব্যবসায় শুরু করার আগে এবং ফেসবুক পেজ তৈরি করার আগেই ডোমেইন কিনে নেয়া উচিৎ।
৫। বিশ্বাসযোগ্যতাঃ
বিশ্বাস করুন, অথবা না-ই করুন। কিন্তু, বর্তমান বিজনেসের জগতটা অনেক ভণ্ডামিতে ভরে গিয়েছে। অনলাইন থেকে কিছু করতে গিয়েই দেখবেন, প্রতি ১০ জনে ১ জন করে চোর বাটপার পাবেন। এটা আমাদের দেশে আর ব্যাপকতা লাভ করেছে। ২ দিন আগে ডোমেইন হোস্টিং কিনে, ফেসবুকে পেজ ওপেন করে সে নিজেকে দেশের সেরা ব্যবসায়ী দাবী করাটা এখন নিত্যদিনের ব্যাপার। আপনি নিজেও হয়তো ধরা খেয়েছেন? অথবা এমনটা লক্ষ্য করেছেন ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের কল্যানে!
কিন্তু, সময়ে পাল্টে যাচ্ছে, মানুষ এখন অনলাইনে প্রতি বেশি মনোযোগী হচ্ছে, তাই ভন্ড-প্রতারকরা বেশিদূর আগাতে পারে না। তাই নিজের ব্যবসায়ের পারফরমেন্স এবং বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তুলুন এখন থেকেই। আর কিছু হোক না হোক, নিজের ব্র্যান্ড / উদ্যোগের নামে ডোমেইন কিনুন সবার আগে। কারণ, আপনি কবে হোস্টিং কিনেছেন, কবে ওয়েবসাইট করেছেন এগুলো খুঁজে বের করা কিছুটা জটিল প্রক্রিয়া। কিন্তু, ডোমেইন কবে কিনেছেন, এটা এক ক্লিকেই খুঁজে বের করা সম্ভব who.is ওয়েবসাইট থেকে। এই ২/৩ দিন আগ ডোমেইন কেনা অবস্থায় যখন কেউ একজন জানাশুনা মানুষ আপনার ডোমেইনের হুইজ রেকর্ড দেখে ব্যাপারটা নিয়ে কথা তুলবে তখন আপনি অনেকটাই বেকায়দায় পড়ে যেতে পারেন। তাই বিজনেস শুরু আগেই ডোমেইন কিনে ফেলুন দ্রুতই!
৬। লোকাল ডোমেইনঃ
আমরা যারা অনলাইনের মাধ্যমে দেশের ভিতরেই বিজনেস করি, তারা একটা ব্যাপার কখনই বুঝতে বা জানতে চাইনা, সেটা হল – লোকাল এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) এবং লোকাল ডোমেইন ভ্যালু। আমরা সবাই মনে করি, .com বা .net ডোমেইন ছাড়া কখনই অনলাইনে ব্যবসা হবে না। কিন্তু এই ধারনাটা পুরোপুরি ভুল। সার্চ ইঞ্জিনগুলো (স্পেশালি – গুগল) লোকাল ব্যবসায়ের জন্য লোকাল ডোমেইনগুলোকে সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি (গুরুপ্ত) দেয়। যেমনঃ আপনি বাংলাদেশ ব্যবসায় করলে .com.bd (.bd বাংলাদেশের কান্ট্রি স্পেসিফিক ডোমেইন) ডোমেইনটিও আপনাকে অনেকদিক থেকে এগিয়ে রাখবে। কারণ, একজন ভিজিটর কোন কোন দেশে থেকে কোনও একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে বেশি ভিজিট করে, তার ওপর ভিত্তি করে সেই ডোমেইনের রাঙ্কিং নির্ধারন করে।
মনে করেন, আমরা ১০ জন বাংলাদেশে থেকেই দেশের মধ্যে ভাল বিজনেস করছি। ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেই .com ডোমেইন, আপনি একাই .com.bd ডোমেইনে আছেন। সবার বিজনেসের অবস্থাই মোটামুটি একই পজিশনে(কাস্টমার বেজ, প্রোডাক্ট, সার্ভিস)। পার্থক্য হয়ে দাঁড়াবে লোকাল ডোমেইনে। গুগল বা সার্চ ইঞ্জিন দেখবে, আপনার .bd এক্সটেনশন, আপনি বাংলাদেশে এবং আপনার ওয়েবসাইটে বেশিরভাগ ক্রেতা, ভিজিটির যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। অন্যদিকে অন্য ৯জনের ডোমেইন গ্লোবাল (.com), তাদের বেজমেন্ট ভাল হবার পরও গুগল আপনাকেই তাদের সবার আগে ভিজিটির সামনে প্রেজেন্ট করবে। এটাই হল লোকাল ভ্যালু। বুঝা গেলো?
৭। ডোমেইন ব্রান্ডিংঃ
এবার আসা যাক সবচেয়ে মজার ব্যাপারে। এতো দিন আপনি ইমেইল নিশ্চয়ই ব্যবহার করেছেন? Gmail.com বা Yahoo.com এর ইমেইল। তাইনা?
কিন্তু এবার থেকে ব্যবহার করবেন নিজের ব্র্যান্ডেড ইমেইল। যেমনঃ আমি ব্যবহার করি aishaon@rangpursource.com ইমেইল। কারণ আমার ডোমেইন rangpursource.com। এটাকেই ডোমেইন ব্রাণ্ডিং বলে। অনেকেই বলে ওয়েবমেইল বা বিজনেস মেইল। যদিও বিজনেস মেইল বলতে আর অন্য কিছু বুঝায়, হোক আমরা সেইদিকে না যাই। আপাতত বুঝি আপনার একটা ডোমেইন এবং সাথে হোস্টিং থাকার কারণ আপনি কত বড় একটা সুবিধা পেয়ে গেলেন। এখন এই ইমেইল দিয়ে আপনি যাকেই মেইল পাঠাবেন, সে-ই জানবে আপনার ব্র্যান্ড ডোমেইন নাম, এবং সাথে আপনার উদ্যোগের নামটাও। অনেক মজা, তাই না? 🙂
৮। অর্থ ও সময়ের সাশ্রয়ঃ
বর্তমান ট্র্যাডিশনাল বিজনেসগুলো কথা চিন্তা করুন। তারা কাস্টমারকে ফোন দিয়ে প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানায়। যারা একটু ডেভেলপ মেন্টালিটি’র তারা এসএমএস সেন্ড করে। কিন্তু, তারপরও কখনও কখনও কাস্টমারকে শপে আসতে হচ্ছে, অথবা সেলার টিমকে কাস্টমারের দোরগোড়ায় যেতে হচ্ছে। এতে সময় এবং অর্থ ২টাই খরচ হচ্ছে, কিন্তু আউটপুট আসবে কত % ব্যাক আসবে, সেটা কিন্তু বলা মুশকিল। তাহলে উপায় কি?
উপায় হচ্ছে, একটি ডোমেইন তারপর ওয়েবসাইট করানো। এরপর থেকে আপনাকে আর ফোন দিতে হবে। খুব দরকার হলে একটা ছোট এসএমএস দিয়ে জানিয়ে দিতে পারেন, আপনার শপে নতুন আইটেম সম্পর্কে। এতে কাস্টমারকেও শপে আসতে হবে না, আপনাকেও তার দোরগোড়ায় যেতে হবে না। কাস্টমার তার সুবিধা মত ইন্টারনেটে আপনার ডোমেইন / ওয়েবসাইট ভিজিট করে সকল লেটেস্ট কালেকশন দেখে নিতে পারবেন। এমনকি চাইলে, ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার এবং পেমেন্টও প্রসেস করতে পারবে। এখানে আপনার ইনভেস্টমেন্ট অনুযায়ী রিটার্ন আসার সুযোগ অনেকাংশে বেশি।
৯। ভার্চুয়াল যোগাযোগঃ
এতদিন কাস্টমারের সাথে ফোন বা এসএমএসে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু, এখন সময় বদলে গেছে। আপনি বা আমরা সবাই ইকমার্স বুঝি, সেই অনুযায়ী কাজ করি। একটা ডোমেইন থাকার কারনে, আপনি কত কত সুবিধা পেতে শুরু করেছেন। সবচেয়ে বড় সুবিধাটা হচ্ছে আপনি অনলাইনেই আপনার ওয়েবসাইটের কন্টাক্ট ফরমের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছেন। কোন প্রোডাক্ট ভাল লাগলে, কাস্টমার সেটাকে “উইশ লিস্ট”-এ যুক্ত করে রাখতে পাচ্ছে। এমনকি তাৎক্ষনিক প্রোডাক্ট সম্পর্কে বা অর্ডার সম্পর্কিত কোন তথ্য জানার থাকলে ওয়েবসাইটে “লাইভ চ্যাট”-এর মাধ্যমে সাপোর্ট নিতে পাচ্ছেন। অনেক ওয়েবসাইটে ইদানিং সরাসরি ফেসবুক পেজের মেসেঞ্জার যুক্ত করে রাখছে। এতে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুকেও কাস্টমারের ইঙ্গেজমেন্ট তৈরি হচ্ছে। যা আপনার ব্যাবসায়ের জন্য পজেটিভ দিক।
১০। মাল্টি ডোমেইন বেনেফিটঃ
ইকমার্স ব্যবসায় যখন বড় হতে থাকে, যেকোনো কোম্পানি-ই চেষ্টা করে সবসময় তাদের নিজ ব্র্যান্ড ডোমেইনগুলোর একাধিক এক্সটেনশন কিনে রাখার, যদিও এতে খরচ বাড়বে, তবে বাড়তি সুবিধাও আছে। মাল্টিপল ডোমেইন নাম ঠিকই থাকবে, শুধু এক্সটেনশন বাড়বে। যেমনঃ abcd.com, abcd.net, abcd.co, abcd.shop, abcd.store এভাবে কান্ট্রি স্পেসিফিক ডোমেইনগুলোও তারা নিয়ে রাখতে পারে যদি ঐ দেশে গিয়ে ব্যবসায় করে। যেমনঃ abcd.com.bd, abcd.co.uk, abcd.in, abcd.pk ইত্যাদি।
আসলেই সুবিধাটা কি? সুবিধা হল, আপনি মাল্টি ডোমেইন ইউজ করার কারণে – সার্চ ইঞ্জিনে অনেক প্রায়োরিটি পাবেন। আপনার ডোমেইনের অথোরিটি (নির্ভরশীলতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা) বাড়বে। কাস্টমার অনেক সময় .com / .net এর জায়গায় অন্য কিছু লিখে ব্রাউজ করলেও আপনার মেইন সাইটে গিয়েই ভিজিট করবে। এতে আপনি কাস্টমার হারাবেন না।
কান্ট্রি স্পেসিফিক ডোমেইন হলে আরো সুবিধা। অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি ইন্ডিয়া, চীন এবং ইংল্যান্ড-এর মানুষরা বেশিরভাগ সময়ে তাদের কান্ট্রি স্পেসিফিক ডোমেইন সাইট ভিজিট করে। আপনি মনে করেন, ইন্ডিয়াতে বিজনেস করবেন। তাহলে .com এর পাশাপাশি .in দিয়েও একটা ডোমেইন নিয়ে রাখেন। এতে ঐ দেশের কাস্টমাররা নিজ নিজ ডোমেইনে ভিজিট করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। এতে ঘুরে ফিরে কিন্তু আপনারই ব্যবসায়ের প্রচার এবং প্রসার বাড়ছে, সাথে ওভারল ব্যবসায়ের পারফর্মেন্স, আথোরিটি দিন দিন সার্চ ইঞ্জিনে উপরের দিকে উঠে আসবে। বর্তমান ইকমার্স জায়ান্ট Amazon (অ্যামাজন) এর কথাই ভাবুন একবার!
আপনার উদ্যোগ/ব্যবসায়ের জন্য কি ডোমেইন কিনেছেন? না কিনে থাকলে এখানে থেকে ডোমেইন নাম চেক করে দেখুন সেটি ফাঁকা আছে কিনা। ফাঁকা থাকলে কিনে ফেলুন দ্রুতই।
একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে বিভিন্ন ক্লায়েন্টকে ডোমেইন রিলেটেড সার্ভিস দিতে গিয়ে দেখেছি, নিজের বিজনেসের নামে ডোমেইন থাকার উপকারিতা বা সুবিধা অনেকেই জানেন না। শুধু নিতে হবে, তাই ডোমেইন নেয়া। ডোমেইন যেহেতু আপনার ইকমার্স বিজনেসের প্রথম ধাপ, তাই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই এই লিখাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। কারও উপকার হলে আমার ভালো লাগবে।