Domain Hosting Guideline

ডোমেইন এবং হোস্টিং সম্পর্কে যা জানা দরকার

ইন্টারনেটে কোন একটি ওয়েবসাইটের নামেকে ডোমেইন বলা হয় আর হোস্টিং হচ্ছে ইন্টারনেটে একটি জায়গা, যেখানে আপনি কোন তথ্য রাখবেন এবং তা যেকোনো স্থান থেকে ইউজ করবেন।

ডোমেইন কি?

ইন্টারনেটে কোন একটি ওয়েবসাইটের নাম বা ঠিকানাকে ডোমেইন বলা হয়। যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রবেশ করে তথ্য দেখা এবং সংগ্রহ করা যায়। যেমনঃ microsoft.com, facebook.com, google.com, rangpursource.com ইত্যাদি। তবে, microsoft, facebook, google বা rangpursource শুধু এই অংশটি হচ্ছে ডোমেইনের নাম। অন্যদিকে .com অংশটিকে ডোমেইন এক্সটেনশন। ডোমেইনের আরও এক্সটেনশন আছে, যেমনঃ .net, .org, .info, .ac সহ আরও অনেকগুলো। ডোমেইন এক্সটেনশন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পাবেন – https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_Internet_top-level_domains লিঙ্কে। প্রতিটি ডোমেইন কমপক্ষে ১ বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, যা পরবর্তীতে রিনিউ করে চালানো যায়। সারা বিশ্বে যতগুলো ডোমেইন আছে এবং প্রতিনিয়ত রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে প্রতিটি-ই ইউনিক।

.com, .net, .org, .info ডোমেইনগুলোকে সংক্ষেপে বলা হয় TLD বা Top Level Domain, এই ডোমেইন গুলো কোনটাই ফ্রি না। আপনি যেটাই ক্রয় করুণ না কেনও এক্সটেনশন টাইপ, সময় এবং কোম্পানি ভেদে আপনাকে নূন্যতম ৭০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা খরচ করতে হবে। বিভিন্ন দেশে অনুযায়ী কান্ট্রি স্পেসিফিক ডোমেইন আছে, যেমনঃ বাংলাদেশের জন্য .bd, ইংল্যান্ডের জন্য .uk ইত্যাদি। আপনার পছন্দের ডোমেইনটি available আছে কিনা এখানে চেক করে দেখতে পারেনঃ http://bit.ly/rs-domain-checker

ডোমেইনের ধরণঃ

একেকটি ডোমেইন একেক কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ .com ডোমেইন commercial বা যেকোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য .com ডোমেইন ব্যবহার করতে পারেন। অন্যদিকে .net ডোমেইন নেটওয়ার্ক / গ্রুপ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের জন্য, .org হচ্ছে সংগঠনের জন্য, .info ডোমেইন তথ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এবং .ac / .edu হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়) জন্য। তবে, .com ডোমেইন এখন প্রায় সব ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ, একটি সহজলভ্য, সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি এবং খুব দ্রুতই ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি এবং ইন্টারনেটে ভাইরালের প্রয়োজনীয়তা না থাকলে, কাজের/প্রতিষ্ঠানের ধরণের সাথে মিল রেখে ডোমেইন এক্সটেনশন ব্যবহার করা উচিৎ। ইদানীং কালে .store, .blog, .pw, .shop সহ আরও অনেকগুলো নতুন ডোমেইন এক্সটেনশনও কিনতে পাওয়া যায়, কারণ ডোমেইনের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান ICANN গত কয়েক বছর ধরে অনেকগুলো নতুন ডোমেইন এক্সটেনশন বাজারে এনেছে কাজের / ওয়েবসাইটের ধরণ অনুযায়ি।

হোস্টিং কি?

সহজ ভাষায় হোস্টিং হচ্ছে ইন্টারনেটে কোন একটি জায়গা, যেখানে আপনি আপনার কোন তথ্য রাখবেন এবং তা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে দেখবেন/রক্ষণাবেক্ষণ করবেন এমন একটি মাধ্যম। সাধারণভাবে, আমার কোন একটি ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিং ব্যবহার করি। কারণ, ওয়েবসাইটের টেক্সট, ইমেজ, অন্যান্য ফাইল, অডিও/ভিডিও কন্টেন্ট (যদি থাকে) এগুলো ওয়েবসাইটে দেখানোর জন্য আমাদের হোস্টিং ব্যবহার করতে হয়। হোস্টিং ছাড়া, ওয়েবসাইট চালাতে পারবেন না। যেমনঃ microsoft.com, facebook.com, google.com প্রতিটিই আলাদা আলাদা হোস্টিং-এ চলে। ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি অনুযায়ী হোস্টিং-এর প্যাকেজ, ফিচার এবং দাম নির্ভর করবে।

হোস্টিং কয়েক ধরণেরঃ কার্যকারিতা এবং প্রয়োজনভেদে কয়েকধরণের হোস্টটিং দেখতে পারবেন। যেমনঃ

১। শেয়ারড হোস্টিংঃ

সাধারণত ব্যক্তিগত বা ছোট থেকে মাঝারি সাইজের ব্যবসায়ের ওয়েবসাইট, যেগুলোতে মাসে ৩০ থেকে ৫০ হাজার বা সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ভিজিটর আসবে, এমন ওয়েবসাইট চালানোর শেয়ারড হোস্টিং ব্যবহার করা যায়। নূন্যতম ১জিবি থেকে শুরু করে ১০জিবি পর্যন্ত শেয়ারড হোস্টিং ইউজ করা হয়। এর বেশি দরকার হলে, হোস্টিং প্রোভাইডারের সাথে যোগাযোগ করে প্যাকেজ আপগ্রেড করে নেয়া যায়। তবে সমস্যা হচ্ছে, শেয়ারড হোস্টিং-এ আপনি ইচ্ছামত হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার ইউজ করতে পারবেন না। আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি যা কনফিগারেশন দিবে সেটাই আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। আমাদের শেয়ারড হোস্টিং প্লান দেখতে পারেন এখানে – http://bit.ly/rs-shared-hosting। নিচে শেয়ারড হোস্টিং-এর একটি প্যাকেজের উদাহরণ দিলামঃ

Disk space: 1000MB (1GB)
Bandwidth: 25000MB (25GB)
Email account: Unlimited
MySQL database: Unlimited
Subdomain: Unlimited

এখন দেখা যাক কোনটা কি কাজে লাগেঃ

Disk space:

ডিস্ক স্পেস হচ্ছে, আপনার ওয়েবসাইটের জন্য যে ফাইল/ডাটা গুলোর হোস্টিং –এ রাখবেন তার ধারণ ক্ষমতা। 1000MB বা যে সাইজের প্যাকেজ আপনি ইউজ করবেন, তার উপর ভিত্তি করে আপনাকে ডিস্ক স্পেস ইউজ করতে হবে। আপনি চাইলে অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করে নতুন করে ফাইল আপলোড করতে পারবেন যদি ডিস্ক স্পেস বাড়াতে ইচ্ছুক না হন।

Bandwidth:

অনেকেই ডিস্ক স্পেস এবং ব্যান্ডউইথকে একই বিষয় মনে করে, এটা ভুল ধারণা। ব্যান্ডউইথ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে ১ মাসের ডাটা ট্রান্সফারের পরিমাণ। মনে করুণ, আপনার ওয়েবসাইটে ৫ মেগাবাইট সাইজের একটি ফাইল আছে। সেই ফাইলটি আপনার ওয়েবসাইট থেকে ৫০০ জন ডাউন-লোড করলো। তাহলে আপনার মোট ব্যান্ডউইথ খরচ হল – 5MB x 500 = 2500MB। তাহলে আপনার হোস্টিং-এ মাসে 25000MB/25GB ব্যান্ডউইথের মধ্যে 2500MB খরচ হবে। এছাড়াও, সাধারণভাবে আপনি নিজেই আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করলেও ব্যান্ডউইথ খরচ হবে। কারণ, আপনি যে পেজটিকে লোড হবার জন্য রিকোয়েস্ট/ব্রাউজ করছেন, তারও একটা ওয়েট/সাইজ আছে, হতে পারে সেটা MB/KB সাইজে, তাইনা? তাই যারা ভাবছেন নিজে ভিজিট নয়া করলে বা কোন কিছু ডাউনলোড না করলে ব্যান্ডউইথ খরচ হবেনা, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।

Email account:

অনেকে প্রশ্ন করেন, ওয়েব হোস্টিং-এর সাথে ইমেইল অ্যাকাউন্টের সম্পর্ক কি? কারণ, আমি yahoo, gmail বা live মেইল ইউজ করি। হ্যাঁ সম্পর্ক আছে, আপনি yahoo, gmail বা live মেইল ইউজ করে আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস কি পাচ্ছেন? apnarid@yahoo.com / apnarid@gmail.com / apnarid@live.com – এমনটা, তাইনা? বাস্তব একটি উদাহরণ দেই, আমার ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস rarngpursource.com, আমি চাইছি আমার ওয়েবসাইট অ্যাড্রেসের সাথে মিল রেখে একটি ইমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করবো। এজন্য আমার অবশ্যই হোস্টিং থাকতে হবে, শুধু ডোমেইন থাকলেই আপনি ইমেইল করতে পারবেন না। আমি হোস্টিং নিয়েছি এবং একটি ইমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছি – aishaon@rangpursource.com, ঠিক এভাবে আপনিও তৈরি করতে পারবেন। তবে, আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার যতগুলো ইমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করার অ্যাক্সেস দিবে, তার বেশি তৈরি করতে পারবেন না। আমাদের থেকে হোস্টিং কিনলে আপনি আনলিমিটেড ইমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

MySQL database:

মাইএসকিউএল বা মাইসিকুয়েল ডাটাবেজ বা অন্য যেকোনো ডাটাবেজ প্রোগ্রাম দরকার হয় ডাইন্যামিক সাইট চালানোর জন্য। যেমনঃ ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা বা অন্যকোন সিএমএস ডাটাবেজ ছাড়া চালানো সম্ভব হয়না। এছাড়াও আপনি কাস্টম বিল্ড যেকোনো ডাইন্যামিক সাইট চালাতে চাইলে ডাটাবেজ দরকার হবে। আর এই জন্যই মাইসিকুয়েল ডাটাবেজ। এক্ষেত্রেও আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার যতগুলো ডাটাবেজ তৈরি করার অ্যাক্সেস দিবে, তার বেশি তৈরি করতে পারবেন না। আমাদের থেকে হোস্টিং কিনলে আপনি আনলিমিটেড ডাটাবেজ তৈরি করতে পারবেন।

Subdomain:

সাব-ডোমেইন হচ্ছে একটি সাইটের আন্ডারে সম্পূর্ণ আলাদা আরেকটি সাইট। যেমনঃ আমাদের মূল সাইট হচ্ছে – rarngpursource.com আর সাব-ডোমেইনে আরেকটি সাইট হচ্ছে – blog.rangpursource.com বা premium.rangpursource.com। আপনার হোস্টিং সিপ্যানেল থেকে সাব-ডোমেইন তৈরি ও ম্যানেজ করতে পারবেন। তবে এটি তৈরি করার লিমিটও আপনার হোস্টিং প্রোভাইডারের কাছে। আমাদের থেকে হোস্টিং কিনলে আপনি আনলিমিটেড ডাটাবেজ তৈরি করতে পারবেন।

উপরোক্ত সবগুলো ফিচার পরবর্তীতে বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার থেকে বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

২। রিসেলার হোস্টিংঃ

এটি মূলত হোস্টিং ব্যবসায়ের জন্য নেয়া হয়। যেমনঃ আপনি আমাদের থেকে ১০/২৫/৫০ জিবি বা তারও বেশি রিসেলার সিস্টেমে হোস্টিং কিনে নিয়ে অন্যের কাছে সেল করে ব্যবসা করবেন। রিসেলার হোস্টিং-ও এক ধরণের শেয়ারড হোস্টিং। থেকে এখানে বাড়তি সুবিধা বলতে, আপনি আপনার কাস্টমারের জন্য সিপ্যানেল করতে পারবেন। তার ডিস্ক-স্পেস, ব্যান্ডউইথ, ইমেইল, ডাটাবেজ, সাব-ডোমেইন নিজের মত সেট করতে পারবেন। অসুবিধা বলতে, এখানেও আপনি ইচ্ছামত হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার ইউজ করতে পারবেন না। যাদের ছোট বা মাঝারি পরিসরে হোস্টিং ব্যবসা করার ইচ্ছে আছে, এটি শুধু তাদের জন্যই প্রযোজ্য। এই আর্টিকেল পড়ে যারা আমাদের থেকে রিসেলার হোস্টিং নিতে আগ্রহী হবেন, তাদের জন্য কমপক্ষে ১০% ডিস্কাউন্ট থাকবে প্রথম বছরের জন্য। আমাদের রিসেলার হোস্টিং প্লান দেখতে পারেন এখানে – http://bit.ly/rs-reseller-hosting। প্যাজেক সাইজ বড় হলে আরও বড় ডিস্কাউন্টও পেতে পারেন! নিচে শেয়ারড হোস্টিং-এর একটি প্যাকেজের উদাহরণ দিলামঃ

Disk space: 10000MB (10GB)
Bandwidth: 2,50,000MB (250GB)
cPanel accounts: 40
Email account: Unlimited
MySQL database: Unlimited
Subdomain: Unlimited

৩। ডেডিকেটেড সার্ভারঃ

ডেডিকেটেড সার্ভার হচ্ছে একটি ফিজিক্যাল সার্ভার / কম্পিউটার। একটি কম্পিউটারে যেমন র‍্যাম, প্রসেসর, হার্ডডিস্ক থাকে, ঠিক তেমন ডেডিকেটেড সার্ভার হচ্ছে এমনি একটি ফিজিক্যাল সার্ভার। যার কোন হার্ডওয়্যার অন্যকোন সার্ভার বা কম্পিউটার ইউজ করেনা। নিচে একটি ডেডিকেটেড সার্ভারের উদাহরণ দিলামঃ
HDD: 2TB,
Bandwidth: 10TB,
RAM: 8GB,
Processor: Xeon E5-1650v3,

ডেডিকেটেড সার্ভার থেকে আপনি চাইলে সব ধরণের হোস্টিং প্যাকেজ তৈরি করতে পারবেন। আপনি আপনার ইচ্ছামত হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন করে নিতে পারবেন। কনফিগারেশন কম বা বেশির ওপর ভিত্তি করে দামে পার্থক্য আসবে। বড় কোন কোম্পানি বা আপনি নিজেই এমন কোন হাই এ্যাঙ্গেজমেন্টের এক বা একাধিক ওয়েবসাইট চালালে তাদের জন্য ডেডিকেটেড সার্ভার বেজড হোস্টিং উপযুক্ত। ডেডিকেটেড সার্ভার মান্থলি রিনিউ সিস্টেমে নেয়া হয়। সাধারণত এই সার্ভারের দাম কনফিগারেশন অনুযায়ী মাসে আনুমানিক ৮০ থেকে ২৫০ ডলার হয়ে থাকে। আমাদের ডেডিকেটেড হোস্টিং প্লান দেখতে পারেন এখানে – http://bit.ly/rs-dedicated-hosting

৪। ভিপিএস হোস্টিংঃ

VPS অর্থ হচ্ছে Virtual Private Server। মূলত ডেডিকেটেড সার্ভার থেকে ভিপিএস হোস্টিং তৈরি করা হয়। এটি ব্যবসায়িক এবং ব্যক্তিগত দুই ধরণের কাজেই ব্যবহার করা যায়। একই সাথে শেয়ারড এবং রিসেলার হোস্টিং প্যাকেজ তৈরি করতে পারবেন। শেয়ারড হোস্টিং-এ যেখানে একই সাথে অনেকগুলো সাইট চলে, তাই শেয়ারড সার্ভারে লোড থাকে তুলনামূলক বেশি। কিন্তু, ভিপিএস সার্ভার নিয়ে কাজ করলে আপনি আপনার ফুল রিসোর্স একাই ইউজ করতে পারবেন, এতে আপনার সাইট দ্রুত গতিতে লোড হবে এবং একই সাথে অনেক বেশি ভিজিটর ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হবে। ভিপিএস সার্ভারের ব্যয় শেয়ারড সার্ভার থেকে তুলনামূলক অনেক বেশি। আপনার বাজেট এবং বিজনেস স্ট্রাটেজি ভাল থাকলে ভিপিএস সার্ভার চালাতে পারেন। ভিপিএস সার্ভারও র‍্যাম এবং সিপিইউ কনফিগারেশন অনুযায়ী নেয়া হয়ে থাকে। ভিপিএস সার্ভারও মান্থলি রিনিউ সিস্টেমে নেয়া হয়। সাধারণত এই সার্ভারের দাম কনফিগারেশন অনুযায়ী মাসে আনুমানিক ৪৫ থেকে ১২০ ডলার হয়ে থাকে। আমাদের ডেডিকেটেড হোস্টিং প্লান দেখতে পারেন এখানে – http://bit.ly/rs-vps-hosting

কোথায় থেকে ডোমেইন হোস্টিং কিনবেন?

ডোমেইন হোস্টিং কোথায় থেকে কিনবেন সেটা নিয়ে দ্বিধা-দণ্ডের শেষ নাই আমাদের মাঝে। দেশি বা বিদেশি কোম্পানি থেকে হোস্টিং নেয়া নিয়েও রয়েছে নানান মতভেদ। তবে, ব্যাপারটি সম্পূর্ণ পরিস্থিতি এবং অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভরশীল। তবে, আমি প্রেফার করি শুরুর দিকে বা সবসময় দেশি কোম্পানি থেকে ডোমেইন হোস্টিং নেয়া। কারণঃ

১। সরাসরি ফোন কলে সাপোর্ট পাবেন। বাহিরের কোম্পানির মত ওয়েটিং লিস্টে থাকতে হবে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

২। অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে দিয়ে পে করার ঝামেলা পোহাতে হবে না। ব্যাংক, বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে পেয় করতে পারবেন।

৩। খরচ ছাড়াই আপনার জন্য একটি বেসিক সাইট সেটআপ করে দিবে (আমি দেই তবে এটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না)।

৩। আপনার ছোটখাটো ইস্যুতে ওয়েবসাইট সাসপেন্ড করে এক্সটা চার্জ নিবে না (সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না)।

৪। রিনিউয়ালে অর্থনৈতিক প্রবলেম থাকলেও সাইট ডাউন থাকবেনা, যদি ভাল সম্পর্ক বজায় করতে পারেন। এটা অনেক বড় সাপোর্ট।

৫। সাপোর্ট টিকেট রিকোয়েস্ট দিয়ে দিন গুনতে হবে না। সর্বোচ্চ ১২ ঘন্টার মধ্যে রিপ্লে/সল্যুশন পাবেন।

এছাড়াও দেশি কোম্পানি থেকে ডোমেইন হোস্টিং নেয়ার আরও অনেক সুবিধা আছে, যা শুধুমাত্র সার্ভিস দেয়ার পরই বুঝতে পারবেন। সুবিধার পাশাপাশি যেগুলো অসুবিধা আছে সেটা অবশ্যই নতুন প্রভাইডারদের মধ্যে দেখা যায়, যেমনঃ টেকনিক্যাল স্কিল কম, সার্ভার অনেক চিপরেটে কেনার কারণে সিকিউরিটি কম পাবেন, ওয়েবসাইট ডাউন থাকতে পারেন, সল্যুশন পেতে দিনের পর দিন ওয়েট করতে হবে, এমন আরও অনেক কিছু হতে পারে। তবে, যারা দীর্ঘ সময় থেকে যারা ডোমেইন-হোস্টিং বিজনেস করে আসছে আমাদের দেশে, তাদের থেকে নিলে কখনই ঝামেলায় পড়বেন না।

আশা করি ডোমেইন হোস্টিং-এর ব্যাপারে আপনাদের ধারণা এখন অনেকটাই ক্লিয়ার। কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে পারেন।

দীর্ঘদিন থেকে আমরা RangpurSource, বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এবং ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস দিয়ে আসছি। আমাদের শেয়ারড হোস্টিং-এ ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট চালানোর পাশাপাশি আমাদের থেকে রিসেলার, ভিপিএস, ডেডিকেটেড হোস্টিং নিয়ে নিজেও ওয়েব হোস্টিং বিজনেস শুরু করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার আরও কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কল (০১৭৪১৯৯৯৬৪১) অথবা ফেসবুক পেজে ম্যাসেজ করতে পারেন এই – http://m.me/rangpursource লিঙ্কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.