- ইকমার্স বিজনেসের নামে ডোমেইনঃ ডোমেইনের নাম নির্বাচন
- ইকমার্স বিজনেসের নামে ডোমেইনঃ জেনে নিন ১০টি সুবিধা/উপকারিতা!
- ইকমার্স বিজনেসের নামে ডোমেইনঃ জেনে নিন কেনার পূর্বে ১০ট আবশ্যিক সতর্কতা!
- ইকমার্স বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিংঃ হোস্টিং কি এবং কেনার পদ্ধতি
- ইকমার্স বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিংঃ জেনে নিন ১০টি সুবিধা/উপকারিতা!
- ইকমার্স বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিংঃ জেনে নিন কেনার পূর্বে ১০ট আবশ্যিক সতর্কতা!
নিজের উদ্যোগকে ইকমার্সে রূপান্তর করার কথা ভাবছেন? আপনি কি জানেন উদ্যোগকে ইকমার্সে রূপান্তর করার জন্য কি কি পদক্ষেপ দিতে হয়?
আপনার প্রিয় উদ্যোগকে ইকমার্স বিজনেসে রূপান্তর করার প্রথম ধাপে আপনাকে ডোমেইন নির্বাচন করতে হবে। উদ্যোগের নামে ডোমেইন নেয়ার আগে ১০টি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়/হবে। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে সেই ১০টি সাবধানতা শেয়ার করবো।
চলুন ডোমেইন থাকার সুবিধা বা উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাকঃ
১। ডোমেইনের নাম হতে হবে সহজবোধ্যঃ
ডোমেইন, এমন একটি মাধ্যম যা দিয়ে সারাবিশ্বে আপনাকে এক নামে চিনবে ও জানবে। আপনি যে নামে ডোমেইন কিনে ফেলবেন, সেটা হবে ১০০% ইউনিক। ঐ নামে আর কেউ ডোমেইন নিতে পারবে না যতদিন আপনি সেটা ছেড়ে দিচ্ছেন না।
তাই এই ডোমেইন দিয়েই যেনো সবাই আপনাকে সহজেই খুঁজে পায়, সেই জন্য ডোমেইনের নাম নিতে হবে সহজবোধ্য।
উদাহরণ স্বরূপ ডোমেইন নিয়ে আমার আগের আর্টিকেলেই বলেছিলামঃ
“মনে রাখতে হবে, সারাবিশ্বে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ডোমেইন নিবন্ধন হচ্ছে। একটা ব্যাপার খেয়াল করেন, মনে করেন আপনার নাম বাংলায় “জদু মধু”, আপনি চাইলে কয়েকটা বানানে আপনার ডোমেইন নিতে পারবেন। যেমনঃ zadhumadhu.com বা zodhumodhu.com বা zodumodhu.com অথবা zadumadhu.com। খেয়ান করেনতো ইংরেজিতে আপনি আপনার নামের বানান কিভাবে লিখেন? Zodu Modhu তাইনা? তাহলে ডোমেইনের নাম কি হবে? zodumodhu.com রাইট?”
উপরের উদাহরণটি খেয়াল করুন। আপনি যদি বানান ও উচ্চরনে সতর্ক না হন, তবে আপনার ডোমেইনটি সহজে কেউ খুঁজে পাবে না। তাই আমাদের উচিৎ যতটা সম্ভব উচ্চরন এবং বানানে সহজ, সেইরকম ডোমেইন নাম নির্বাচন করা।
২। ডোমেইন নামের বানানে সংখ্যা, স্পেশাল ক্যারেক্টার না থাকাঃ
ডোমেইনের নাম নির্বাচন/রেজিস্ট্রেশনের সময় খুবই সতর্ক থাকতে হবে সেই ডোমেইনের নামে যেন কোনও ভাবে অপ্রয়োজনীয় সংখ্যা, স্পেশাল ক্যারেক্টার (যেমনঃ hypen (-) / ড্যাশ ), ওয়ার্ড না থাকে। আপনি যদি সরাসরি আপনার উদ্যোগ বা ব্যবসায়ের নামে সেই ডোমেইনটি পেয়ে যান তবে আপনি সত্যি ভাগ্যবান/ভাগ্যবতী। যেমন, মনে করুনঃ
আপনার উদ্যোগের নাম “কাঁঠালবাড়ি”। তাহলে ডোমেইনের নাম কি হবে? অবশ্যই kathanbari(kathalbari.com)। সার্চ দিয়ে দেখলেন ডোমেইনটি কেউ আগেই কিনে রেখেছে আমার প্রথম পোস্টে বলা মত। এখন আপনি কি করবেন? উদ্যোগের নাম তো আর পরিবর্তন করা যাবে না। তাই বলে আপনি কখনই kathal-bari.com বা kathalbari24.com এভাবে ডোমেইনের নাম পরিবর্তন করবেন না। এটা করা একদম অবাঞ্ছনীয়। প্রয়োজনে আপনি এভাবে নিতে পারেনঃ kathalbaribd.com অথবা kathalbari.net কিংবা bathalbari.com.bd। এভাবে আপনার মূল ডোমেইনের নামটা কিন্তু ঠিকই থাকলো। পক্ষান্তরে অপ্রয়োজনীয় ক্যারেক্টার বা সংখ্যা যুক্ত করতে হল না। এতে আপনার ব্র্যান্ড নামের ভ্যালুটা অক্ষুণ্ণ থাকবে।
৩। অপেক্ষাকৃত ছোট ডোমেইন নামঃ
আপনার সবসময় চেষ্টা থাকতে হবে, ডোমেইনের নাম যেনও খুবই সংক্ষিপ্ত হয়। যদিও অনেক সময় এটা করা সম্ভব হয় না বা সেই নামে ডোমেইন ফাঁকা থাকে না। তারপরও আপনার চেষ্টা থাকতে হবে কম করে হলেও ৫/৬ ক্যারেক্টারের মধ্যে ডোমেইন নাম নেয়া।
কেন ছোট ডোমেইন নামে দরকার?
কারণঃ
১। সহজে মনে রাখা যায় এবং লিখতেও ভুলে হবার সম্ভাবনা থাকে না।
২। সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ছোট ডোমেইন নাম গুলো ভ্যালু সবার আগে।
৩। কাস্টমারের এবং আপনার নিজের কাছেই শুনতে ভাল লাগবে, যেমনঃ amazon, ebay, wallmart, evally, rokomari, নামগুলো।
এছাড়াও আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে, উপরের কারণগুলোই উল্লেখযোগ্য।
এখন কথা হচ্ছে, পছন্দ মত ক্যারেক্টারে আপনার ডোমেইন ফাঁকা পাবেন কিনা এটাই মূল সমস্যা। দেখেন, আপনাকে ছোট নাম নিতেই হবে এমনটা না। আপনি যদি মিনিংফুল এবং উচ্চরনে/বানানে সহজ ডোমেইন নাম নিতে পারেন, তাহলেও ১০-১২ ক্যারেক্টারও কোন সমস্যা না। যেমনঃ rangpursource.com 😉
৪। কী-ওয়ার্ড বেজড ডোমেইনঃ
খুবই ইম্পরট্যান্ট একটা টপিক হচ্ছে “কী-ওয়ার্ড”। আগের মতই বলতে হচ্ছে, মনে করেন, আপনার প্রোডাক্ট হচ্ছে “কাঁঠাল” ফল। এখন আপনার ঐ zodumodhu.com সাইট থেকে কাঁঠাল সেল করবেন ভাবলেন। সেল করেন, তো সমস্যা টা কোথায়?
আসলেই সমস্যা কোথাও নাই, যেমনটা সমস্যা নাই ছোট বা বড় ডোমেইন নামে, যদি আপনি সেটাকে ভাল মত মার্কেটিং করতে পারেন। এখন প্রশ্ন হল, কী-ওয়ার্ড বেজড ডোমেইন বলতে কি বুঝালাম? একদম সহজভাবে বলি –
কী-ওয়ার্ড হচ্ছে এমন একটি ব্যাপার যার মাধ্যমে আপনি বা আমি বা আমরা প্রতিনিয়তই সার্চ ইঞ্জিনে বিভিন্ন ইনফর্মেশন খুঁজে বেড়াই। যেমনঃ “ঢাকার হাজির বিরিয়ানি”, “রংপুরের শতরঞ্জি” বা “সিলেটের সাত রঙের চা”, ইত্যাদি। একটি কী-ওয়ার্ড ১ শব্দের হতে পারে, একাধিক শব্দেরও হতে পারে। তবে, ডোমেইন নামের ক্ষেত্রে ১/২ শব্দের কী-ওয়ার্ড বা চেষ্টা করবেন ১ শব্দের নিতে, না হলে ২টা। কোনভাবেই ২-এর অধিক শব্দের কী-ওয়ার্ডে ডোমেইন নিবেন না। যেমনঃ dhakarbiriyari, rangpurershataranji, sylhtercha। কারণ, নাম যতটা সম্ভব ছোট রাখতে হবে আগেই বলেছি। আর কী-ওয়ার্ড বেজড ডোমেইন নিলে আপনার ১ ঢিলে ২ পাখি (ডোমেইন + কী-ওয়ার্ড) মারার কাজটা হয়ে যাবে।
এবার আসা যাক আমাদের “কাঁঠাল” ফলের ডোমেইন নিয়ে। আমরা যেহেতু কী-ওয়ার্ড বেজড ডোমেইনের কথা বলছি, তাই zodumodhu.com ওয়েবসাইটে আমারা কাঁঠাল সেল করবো না। তাহলে আমাদের “কাঁঠাল” সেল হবে না? অবশ্যই হবে, আমাদের “কাঁঠাল বাড়ি” ওয়েবসাইটের kathalbari.com ডোমেইনটা আছে না? সেইখানে সেল করবো। কোন সমস্যা? নামটা কিন্তু অনেক টেন্ডি!
এই আর্টিকেলটা লিখার সময় পর্যন্ত kathalbari.com ডোমেইনটি ফাঁকা দেখেছি। lichubagan.com-ও ফাঁকা দেখছি। আপনি নিজেও খোঁজ করে দেখতে পারেন ফাঁকা আছে কিনা, আর শুরু করে দিতে পারেন আপনার কাঁঠাল/লিচু নিয়ে ইকমার্স ব্যাবসা। 😀
৫। ট্রেডমার্ক ও কপিরাইট ডোমেইনঃ
এই ব্যাপারটি খুবই সেন্সেটিভ। এবং প্রায়ই এমন প্রবলেমে পড়তো অনেকেই। একটা বাস্তব উদাহরণ দেই, বিশ্বের ১ নাম্বার ইকমার্স ওয়েবসাইট অ্যামাজন(amazon.com)-কে আমরা সবাই জানি। এখন মনে করে, আপনি জানতেন না এমন একটা সাইট আছে, যারা ইকমার্স বিজনেস করে। আপনি amazon.com.bd বা amazon.net এমন ডোমেইন নিয়ে লোকাল যেকোনো প্রোডাক্ট সেলিং শুরু করে দিলেন। সাময়িক কোন প্রবলেম ফেস করবেন না। কিন্তু, আপনার ব্যাবসায় বড় হবার পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিনেও amazon.com.bd বা amazon.net এর রাঙ্কও উপরের দিকে উঠতে থাকবে। আর তখনই বিপাকে পড়বেন আপনি। ভাবছেন, কিভাবে?
এমনাবস্থায়, অ্যামাজন(amazon.com) কর্তৃপক্ষ চাইলে আপনার বিরুদ্ধে ২টি কাজ করতে পারবেন, কারণ তাদের কাছে অ্যামাজন(amazon.com) এর কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রেশন আছে।
সহজ ভাষায় কপিরাইট হচ্ছে, আপনি অন্যের কনটেন্ট হুবহু বা আংশিক নিজের নামে না চালিয়ে অরিজিনাল কর্তৃপক্ষের ক্রেডিট উল্লেখ করা। আর ট্রেডমার্ক হচ্ছে যেকোনো পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের নাম আংশিক বা হুবহু ব্যবহার না করার একটি আইনী মাধ্যম।
সুতরাং, অ্যামাজনের যেহেতু এই ২টি কাজই খুব ভাল ভাবে করা আছে। তাই তারা আপনার/আপনার ব্যবসায়ের নামে DMCA (Digital Millennium Copyright Act) নোটিশ/মামলা করতে পারেন। অবশ্য, সরাসরি মামলা না দিলেও, তাদের নজরে আসা মাত্রই নোটিশ পাবেন এটা শিউর।
এতে, আপনার অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়, যেমনঃ আপনার ব্যবসায়ের নাম, ডোমেইন এবং লোগোসহ আর অনেক কিছুই পরিবর্তন করা আবশ্যিক হয়ে যাবে। আর যদি মনে করেন, “বললেই হলো? আমি ১০ বছর ধরে এই ডোমেইন/এই নামে ব্যবসা চালাই, আমি কোন অ্যামাজনের কেয়ার করি না।” তাহলে মামলার জন্য প্রস্তুত হন! কারণ, আপনি জানেন/না জানেন, অ্যামাজন সেই ৫ই জুলাই, ১৯৯৪ সাল থেকে ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছে। সুতরাং, যে আগে ব্যবসায় শুরু করে, DMCA আইন বা ব্যবসায়িক পেপারসগুলো তার দিকেই কথা বলে।
তাই, ডোমেইন ক্রয় করবার আগে এই বিষয়টি সবচেয়ে সচেতনতার সাথে খেয়াল করতে হয়। হইলে আপনার সপ্নের উদ্যোগ মাঝ পথে এসে মুখ থুবড়ে পরবে!
৬। শুরুটা .COM ডোমেইনে করাঃ
আপনি হয়তো ভাবছেন, ডোমেইন থাকার উপকারিতা/সুবিধা নিয়ে যে আর্টিকেলটি লিখেছি, সেখানে কয়েকবার বলেছি, .COM দিয়েই শুরু করতে হবে এমনটা না। চাইলে যে কেউ অন্য ডোমেইন এক্সটেশন(.co, .net, .com.bd, .shop, .store) এর মাধ্যমেও করতে পারেন। কিন্তু, এখন বলছি .COM দিয়ে শুরু করার কথা। আচ্ছা, ব্যাপারটা খোলাসা করছিঃ
.COM ডোমেইন ব্যবহার করা কয়েকটি যৌক্তিক কারনঃ
১। .COM ডোমেইন সবচেয়ে জনপ্রিয়
২। আমরা শুনতে শুনতে অভস্থ
৩। দামও তুলনামূলক কম
৪। সার্চ ইঞ্জিনে সবচেয়ে ভ্যালুএ্যাবল ডোমেইন, এবং
৫। আপনি চাইলে কীবোর্ডে কনট্রোল (Ctrl) এবং এন্টার (↵) কী চেপেও ডোমেইনটি ব্রাউজ করতে পারবেন। যেমনঃ আপনার ডোমেইনের নাম যদি kathalbari.com হয়। তবে, শুধু kathalbari লিখে কীবোর্ডে কনট্রোল এবং এন্টার কী এক সঙ্গে প্রেস করলে ডোমেইনটি অমেটিক্যালি ব্রাইজার হবে।
যেহেতু আপনি মাত্রই ব্যবসায়ের প্রারম্ভে, তাই এই বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিৎ ডোমেইনের নাম সিলেকশনের সময়। পক্ষান্তরে,যদি আপনার ব্যবসায়ের নামে .COM ডোমেইন ফাঁকা না থাকে, তবে অন্যকোন এক্সটেনশন বাধ্যতামূলক আপনাকে ব্যবহার করতে হবে।
৭। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলঃ
ব্যবসায়ের নামে পুর্নাঙ্গ সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থাকা মানে, প্রারম্ভিক ১০০% কাজের মধ্যে ১০% কাজ করে ফেলেছেন ইতোমধ্যেই। শুধুমাত্র ফেসবুক প্ল্যাটফর্মেই আমাদের দেশে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার সার্ভিস এবং প্রোডাক্ট বিক্রি হচ্ছে। তার প্রধান সাক্ষী “WE” নিজেই। বা আপানাদের যাদের নিজের পেজ থেকে বিক্রি হচ্ছে তারাও। বর্তমানে যে সোশ্যাল সাইটগুলো থেকে আপনি বেনেফিট পাবেন সেগুলো হচ্ছেঃ facebook, instagram, এবং linkedin।
তাহলে যা যা করতে হবেঃ
১। ডোমেইন কেনার আগে চেক করে দেখুন সেইসব সাইটে আপনার ব্যবসায়ের নামে অন্য কোন পেজ আছে কিনা,
২। পেজের ইউআরএল (URL) বা লিঙ্ক আপনার ডোমেইনের নামের সাথে মিলে গেছে কিনা।
৩। আগে থেকে একই নামে পেজ থাকলেও, তারা অ্যাক্টিভলি ব্যবসায় করছে কিনা।
১ ও ২ নং অপশন যদি থেকেও থাকে, তারপরও আপনি চাইলে আপনার ব্যবসায়ের নামে সোশ্যাল মিডিয়া পেজ তৈরি করতে পারবেন নিম্নোক্ত ওয়ার্ডগুলো প্রিফিক্স বা সাফিক্স ব্যবহার করে। যেমনঃ
প্রিফিক্স ১ঃ “my” – উদাহরণঃ https://www.facebook.com/mykathalbari
প্রিফিক্স ২ঃ “your” – উদাহরণঃ https://www.facebook.com/yourkathalbari
সাফিক্সঃ “official” – উদাহরণঃ https://www.facebook.com/kathalbari.official
উপরের প্রিফিক্স এবং সাফিক্সগুলো প্রায়শই অনেকে সোশ্যাল মিডিয়া পেজে দেখা যায়। আপনিও চাইলে আপনার পেজে এভাবে ইউজ করতে পারবেন কোন ধরনের প্রবলেম ছাড়াই। তবে, সবকিছুর পূর্বে কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক ইস্যু থাকলে সেটা চেক করে নিবেন ভালমতো।
৮। পার্ক / প্রিমিয়াম ডোমেইনঃ
ডোমেইন পার্ক করে রেখে সেটি উচ্চমূল্যে বিক্রয় করাকেই সহজ ভাষায় ডোমেইন পার্কিং বলে। এই ব্যবসা অনেকেই করেন। এমনটি অনেক বড় বড় ডোমেইন প্রোভাইডার কোম্পানি নিজেরাই কাস্টমারদের ডোমেইন পার্কিং এ্যালাউ করে।
তাহলে প্রিমিয়াম ডোমেইন কি? আমার জানা মতে, এই যে আপনি আমি পার্ক করা ডোমেইনগুলো অনেক দাম দিয়ে কিনছি নিজের স্বপ্নের ব্যাবসা বা যেকোনো কারণেই, এগুলোই হচ্ছে প্রিমিয়াম ডোমেইন।
প্রিমিয়াম ডোমেইন আপনার দরকার আছে? না, আপাতত দরকার নাই। তবে, আপনার ইনভেস্টমেন্ট ক্যাপাসিটি ভাল হলে এবং আপনি যদি মনে করেন শুরুতেই সব সেট করে নিবেন, তাহলে প্রয়োজনে প্রিমিয়াম ডোমেইন নিতে পারেন। তবে, প্রিমিয়াম ডোমেইনের থেকে ফ্রেশ এক্সপায়ার্ড ডোমেইন অনেক বেশি কার্যকারী। এক্সপায়ার্ড ডোমেইন নিয়ে পরবর্তী পর্বে আলোচনা করবো।
৯। এক্সপায়ার্ড ডোমেইনঃ
এক্সপায়ার্ড ডোমেইন হচ্ছে এমন একটি ডোমেইন যেটি আগে কেউ ইউজ করতো কিন্তু কোন কারণে সেটি আর কন্টিনিউ করা হচ্ছে না। এমন অনেক এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনতে পারবেন যেগুলোর সোশ্যাল প্রোফাইল এবং সার্চ ইঞ্জিন রেকর্ড ও রাঙ্কিং ভাল পজিশনে আছে।
কিন্তু, কিভাবে পাবেন সেসব ডোমেইন?
গ্লোবালি এমন অনেক ডোমেইন প্রোভাইডার কোম্পানি আছে, যাদের থেকে এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কিনতে পারবেন। তবে, সেক্ষেত্রে আপনাকে গুনতে হতে পারে ভাল এ্যামাউন্টের টাকা। পাশাপাশি এই ডোমেইনগুলো নিয়ে আপনার ভাল জ্ঞান থাকতে হবে। সবিধা অসুবিধা বুঝতে হবে, তাহলেই আপনি এক্সপায়ার্ড ডোমেইন নিয়ে ভাল ব্যবসায় করতে পারবেন। পরের পর্বেই এটা আলোচনা করবো।
১০। ব্লকড ডোমেইনঃ
নাম শুনেই বুঝা যাচ্ছে ব্লকড ডোমেইন সম্পর্কে। অনেক এক্সপায়ার্ড ডোমেইনও ব্লকড ডোমেইন হয়। কিভাবে? চলুন জানি…
যে ডোমেইনগুলো আপনি এক্সায়ার্ড বা ব্লকড পাচ্ছেন সেগুলোও তো কেউ না কেউ কিনেছিল, তাইনা? ভাল উদ্দেশে কিনে চালাতে কোন সমস্যা নাই। বড় আপনার প্রোডাক্টের সাথে যদি মিলে যায় তবে আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট!! কিন্তু, যদি আপনার প্রোডাক্টের সাথেও মিলে নাই, এবং মন্দ উদ্দ্যেশে ইউজ করার কারণে সার্চ ইঞ্জিন ব্লক করেছ, তাহলে কিন্তু পুরাই বিপদে পড়ে যাবেন।
মনে করেন, আপনার সেই kathalbari.com ডোমেইন অনেক দিন আগে কিনে কেউ একজন মাদক বিক্রির কাজ করেছে। একসময় সোশ্যাল মিডিয়া এবং সার্চ ইঞ্জিন দুই জায়গাতেই ব্লকড! কিন্ত, আপন সেটা জানতেন না। ফলে কি হবে? আপনি চাইলেও সেই ডোমেইন নিয়ে বেশির আগাতে পারবেন না যদি না সেই ডোমেইনকে থেকে আপনি আনব্লকড করতে পারেন। সময় নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে, সেখানে ভাল ভাল কনটেন্ট পাবলিশ করে ডোমেইন আনব্লকড করা যায়। তবে, এগুলো নিয়ে অনেক রিসার্চ করতে হবে।
আপনার উদ্যোগ/ব্যবসায়ের জন্য কি ডোমেইন কিনেছেন? না কিনে থাকলে এখানে থেকে ডোমেইন নাম চেক করে দেখুন সেটি ফাঁকা আছে কিনা। ফাঁকা থাকলে কিনে ফেলুন দ্রুতই।
একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে বিভিন্ন ক্লায়েন্টকে ডোমেইন রিলেটেড সার্ভিস দিতে গিয়ে দেখেছি, নিজের বিজনেসের নামে ডোমেইন থাকার উপকারিতা বা সুবিধা অনেকেই জানেন না। শুধু নিতে হবে, তাই ডোমেইন নেয়া। ডোমেইন যেহেতু আপনার ইকমার্স বিজনেসের প্রথম ধাপ, তাই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই এই লিখাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। কারও উপকার হলে আমার ভালো লাগবে।