সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে (SEO) হাতেখড়ি – পর্ব -২

এখন আমরা জানব এসইও’র প্রকারভদ সম্পর্কে। এসইও সাধারণত দুই প্রকারে বা দুইটি উপায়ে করা যায়। যথা:-

  • Paid SEO
  • Organic SEO

(1) Paid SEO: গুগলে ডলার বা টাকা পেমেন্ট করার মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইটকে প্রথম পেজে রাখার যে সিস্টেম চালু রয়েছে সেটিই মুলত  Paid SEO। এটি করার জন্য আর অন্য  কোন কাজ করতে হয়না, শুধু টাকা দিলেই গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে প্রথম পেজে জায়গা করে দিবে।

(2 )Organic SEO: মুলত Organic SEOই হল আসল এসইও। কোন প্রকার ডলার পেমেন্ট না করেই যদি ওয়েবসাইটকে গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসা যায় তবে সেই প্রক্রিয়াকেই বলা হয় Organic SEO বা Free SEO। যেমন আপনি যদি American best Car লিখে Google এ Search দেন তবে এইরূপ একটি পেজ চলে আসবে-

American Car

উপরের পেজ রেসাল্টে দেখা যাচ্ছে যে সবার প্রথমে যে ওয়েবসাইট দুটো শো করছে তার বাম পাশে হলুদ আকারে লিখা রয়েছে Ad। এর মানে হচ্ছে ওই ওয়েবসাইটের মালিক গুগোলকে টাকা দিয়ে Ad এর মাধ্যমে প্রথম পেজে স্থান করে নিয়েছে অর্থাৎ এটি হল Paid SEO। আর ঠিক তার নিচে রয়েছে আরো দুটি ওয়েবসাইট যেগুলোতে কোন Ad লিখা নেই অর্থাৎ এটি হচ্ছে  Organic SEO বা Free SEO। এর জন্য ওয়েবসাইটের মালিককে কোন প্রকার পেমেন্ট করতে হয়নি। সুতরাং SEO নিয়ে কাজ করতে চাইলে আমদের জানতে হবে Organic SEO বা Free SEO সম্পর্কে।

Organic SEO আবার দুই প্রকার।

1. On Page Optimization
2. Of Page Optimization

On Page ও Of Page Optimization :

On Page Optimization মূলত ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীন কাজ। একটি ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করা, সঠিক Key Word রিসার্চ করা, Domain Name নির্ধারণ করা, ভাল মানের Content যুক্ত করা, সুন্দরভাবে সাজানো এবং সমৃদ্ধ করাই এর প্রধান কাজ।

আর Off Page Optimization হল মূলত বাহ্যিকভাবে প্রচার-প্রচারনার কাজ। একটা ওয়েবসাইট তৈরি করার পর সেটাকে গুগোলের প্রথম পেজে নিয়ে আসার জন্য যে বিভিন্ন ধরনের লিঙ্ক তৈরি করা হয় সেটাই মুলত Of Page Optimization এর প্রধান কাজ। উদাহরণস্বরূপ কেউ যখন একটা কোম্পানি বা মার্কেট প্রতিষ্ঠা করে তখন সে ব্যবসায়িকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দুটি পদক্ষেপ গ্রহণ  করে- প্রথমত, কোম্পানি বা মার্কেটটিকে সুন্দরভাবে সাজানো, এর প্রোডাক্টগুলোকে ভালভাবে তৈরি করা এবং ব্যবসার উপযোগী করে গড়ে তোলা। এবং দ্বিতীয়ত, সে তার কোম্পানির প্রচারের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে। যেমন- বিলবোর্ড প্রতিষ্ঠা, পোস্টারিং, মাইকিং ইত্যাদির মাধ্যমে তার কোম্পানির সার্ভিসসমূহ তুলে ধরে। এর ফলে তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসার ঘটে।এভাবে তাদের কোম্পানির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।

এখানে কোম্পানিকে সুন্দরভাবে সাজানো, প্রোডাক্টসমূহ সুন্দরভাবে তৈরির কাজটি মূলত অনপেজ অপটিমাইজেশনের কাজ। আর কোম্পানির প্রচার করার জন্য যে পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করা হয় সেটাই হল অফপেজ অপটিমাইজেশনের কাজ। সুতরাং অনপেজ অপটিমাইজেশনের কাজ কয়েকটি ধাপেই সীমাবদ্ধ, কিন্তু অফপেজ অপটিমাইজেশনের কোন শেষ নেই। এটি একটি প্রচার সিস্টেম। যত বেশি প্রচার করা যায় কোম্পানির জন্য ততই লাভজনক। ব্যাকলিংক, এস এম এম, ফোরাম পোস্টিং ইত্যাদির মাধ্যমে ওয়েবসাইটের Develop করাই মুলত অফপেজ অপটিমাইজেশনের প্রধান কাজ। তাই আমরা এসইও নিয়ে কাজ করতে চাইলে আমাদের অনপেজ ও অফপেজ  অপটিমাইজেশন দুটোই জানতে হবে। পরবর্তী লেসনে আমরা অনপেজ ও অফপেজ অপটিমাইজেশন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

3 thoughts on “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে (SEO) হাতেখড়ি – পর্ব -২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.