যারা ওয়েব ডিজাইন করে থাকেন তারা ফন্ট নিয়ে সমস্যায় পড়েন। কোন ফন্ট দিয়ে কোনটি ডিজাইন করলে সুন্দর দেখাবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তাদের জন্য এখানে কিছু টিপস দিলাম। আশা করি কাজে লাগবে।

প্রথমে লেটারের স্ট্রাকচার নিয়ে বলি।

letter copy

1 হল ASCENDER বা CAP HEIGHT. ক্যাপ হাইট হল আপারকেস লেটারের হাইট আর এসেন্ডার হল লোয়ারকেস লেটারের হাইট। আপারকেস লেটারের হাইট লোয়ারকেসের চেয়ে বেশীও হতে পারে।

2 হল MEANLINE. এটা হল একটা হরাইজন্টাল লাইন যা লোয়ারকেস লেটারের উপরের সীমা।

3 হল BASELINE. এটা এমন একটা কাল্পনিক রেখা যার উপর লেটার গুলো বসে।

4 হল DESCENDER. এটা BASELINE এর নীচে এমন একটি রেখা যেখানে ‘g’, ‘y’ লেটারের নিচের সীমা।

 

এরপর  SERIF ফন্ট নিয়ে বলি। SERIF ফন্টগুলোতে অতিরিক্ত মাত্রা থাকে। তা হলে বুঝে ফেলেছেন যে, SANS SERIF এই অতিরিক্ত মাত্রাগুলো থাকে না।

serif copy

 

ওয়েবসাইটে সব সময় সিম্পল ফন্ট ব্যাবহার করবেন। কারন রিডাররা পড়তে বিরক্তি বোধ করতে পারেন। কিন্তু হেডিং এর জন্য কিছু স্টাইলিশ ফন্ট ব্যাবহার করতে পারেন। যদি কন্টেন্ট অনেক বড় হয়, সে ক্ষেত্রে লাইন হাইট বেশি দেয়া হলে পড়তে সুবিধা হয়। লাইন হাইট কম হলে ইউজার বিরক্ত বোধ করে থাকেন।

একটি পেজে অনেক রকম ফন্ট ব্যাবহার করবেন না। ২ টি ফন্ট দিয়ে পুরো পেজ ডিজাইন করুন। হেডিং এর জন্য যে কোন SERIF, কন্টেন্টের জন্য যে কোন  SANS SERIF ফন্ট ব্যাবহার করুন। আর যদি না পেরে থাকেন তা হলে ৩ টি ফন্ট ব্যাবহার করতে পারেন। কিন্তু কখনোই এর বেশি নয়।

বোল্ড করা হয় কোন কিছুকে গুরুত্ব দেবার জন্য। এ জন্য কোন শব্দগুলো বোল্ড করে দেবেন তা ভেবে নিন। কন্টেন্টে অনেক বেশি বোল্ড লেটার থাকলে আসলে কোনটাই গুরুত্ব বহন করে না।

ফ্যান্সী বা কম্পলিকেটেড ফন্ট বেশি ব্যাবহার করবেন না। হয়ত লোগো তে এ রকম ফন্ট ব্যাবহার করতে পারেন, কিন্তু সাইটে এলোপাতাড়ী এ রকম ফন্ট ব্যাবহার করবেন না।

আরো একটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন, ব্রাউজার কিন্তু সব সময় আপডেট হতে থাকে। সে ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবেন, পুরোনো ফন্টগুলো সেভাবে সাপোর্ট নাও করতে পারে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.