আমরা এখন অনেকেই কম্পিউটার সায়েন্স শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। ঠিক আজকে এই বিষয়টা নিয়েই কিছু লিখতে যাচ্ছি যেটা অনেকেরই কাজে লাগবে, অন্তত নিজের কাজে না লাগলেও আমাদের কোন ছোট ভাই অথবা বোনদের ভবিষ্যতে কাজ লাগতে পারে আশা রাখি।
Code.org হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট যারা মোটামুটি ২০২০ সাল পর্যন্ত একটা পরিসংখ্যান দাড় করায় দিছে, যেটাতে তাকালে আপনি সহজেই বুঝে যাবেন যে আগামীতে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়টি কত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পরিসংখ্যানের কিছু ছবি নিচে পাবেন। যেখানে স্পষ্টত বুঝাই যাচ্ছে আগামী ২০২০ সাল নাগাদ আসতে আসতেই অর্থাৎ এই ৬-৭ বছরের মধ্যেই মোটামুটি ১৪ লাখ কম্পিউটার সায়েন্স এর লোক দরকার পড়লেও মাত্র ৪ লাখ ছাত্র তৈরি হবে কম্পিউটার সায়েন্স ফিল্ড এ কাজ করার জন্য।
এত চাহিদা তৈরি হওয়ার কারন খুব সহজেই আপনি বের করতে পারবেন। আপনি চিন্তা করলে দেখতে পাবেন যে কম্পিউটার সায়েন্স ফিল্ডটি মোটামুটি অনেক ক্ষেত্রকেই নিজের আয়ত্তে করে নিচ্ছে। কিছু উদাহরণস্বরূপ নিচে দিলামঃ
চিকিৎসা ক্ষেত্রেঃ রোগ নির্ণয় (এক্সরে রিপোর্ট), উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয়, রক্ত পরীক্ষা, চক্ষু অপারেশন, সিজার করা ইত্যাদি।
কৃষি ক্ষেত্রেঃ ধানের পাতার রোগ নির্ণয়, রাসায়নিক সার কম সময়ে ছিটানো, জমি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চাষ করানো ইত্যাদি।
যোগাযোগ ক্ষেত্রেঃ মোবাইল টেকনোলজি, মোটামুটি সবাই জানি এতে কি রকম অবদান আছে। যেমনটা- অ্যান্ড্রয়েড ফোন প্রযুক্তিকে জানার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধাকে আমাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে।
নির্মাণ ক্ষেত্রেঃ ব্রিজ তৈরিতে পিলারের দূরত্ব নির্ণয়, বিল্ডিং বানানোর নকশা তৈরি ইত্যাদি।
রাসায়নিক ক্ষেত্রেঃ ওষুধ বানানোর কাজে নিখুত পরিমান নির্ণয়, পরিশুদ্ধকরনের কাজে ইত্যাদি।
যানবাহন ক্ষেত্রেঃ বিমানে আকাশপথ নির্ণয়, মহাকাশে রকেট যান পাঠাতে ইত্যাদি।
ইলেক্ট্রনিক্স ক্ষেত্রেঃ তারবিহীন তথ্য সম্প্রচার, সিগনাল সিস্টেম তৈরিতে, সিসি ক্যামেরা, মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি।
পোশাক শিল্পেঃ আগুন ধরলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফায়ার অফিসকে জানানো, কাপড়ের নকশা অঙ্কনে ইত্যাদি।
কেনা-বেচা ক্ষেত্রেঃ রকমারি ডট কম, এখানেই ডট কম, টেক শপ বিডি ইত্যাদি।
আসলে এখন প্রতিটি ক্ষেত্রেই কম্পিউটার সায়েন্স ফিল্ডটি প্রবেশ করে জাচ্ছে। আমাদের বাজার থেকে শুরু করে চিকিৎসা ক্ষেত্র পর্যন্ত শুধুই এর প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ থাকবে না, এটাকে আমাদের একটা জগত হিসেবে মেন নিতে বাধ্য হতে হবে।
তাই কোড নামের এই প্রতিষ্ঠানটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা জানিয়ে দেয়ার জন্য। এবং এই প্রতিষ্ঠানটির কাজ অব্যাহত রাখতে যারা অবদান রাখছে তাদের প্রথম সারির কয়েকজন হচ্ছে- বিল গেটস, বলমার, হফম্যান, মার্ক জুকারবার্গ ইত্যাদি শীর্ষ স্থানীয় কোম্পানির লোকজন।
তাই আসুন আমরা যে বিষয় নিয়েই পড়ি না কেন, এর সঙ্গে কম্পিউটার সায়েন্স জগতটি নিয়ে গবেষণা করতে যেন ভুলে না যাই।
আমার লেখাটি এখানেই শেষ হচ্ছে না, লেখাটির দ্বিতীয় অংশ খুব শীঘ্রই ছোটদের নিয়ে লেখব ইনশাআল্লাহ্। 🙂