আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করবো এসইও’র আরেকটি গুরুত্তপুর্ন বিষয় নিয়ে। সেটি হল Long Tail Keyword। এর বাংলা অর্থ হল লম্বা লেজ কি-ওয়ার্ড। কি-ওয়ার্ডের আগে পরে ছোট কোন ওয়ার্ড জুড়ে দেবার কারনে সার্চ ইন্জিনে রেসাল্ট পরিবর্তন হয়ে যায়। আর এই পরিবর্তনের সুবিধাটা কাজে লাগিয়ে আমরা নিজের ওয়েবসাইটকে সার্চ রেসাল্টের ভাল পেজ রাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসতে পারি। তো এটাই মুলত Long Tail Keyword বাবহারের উদ্দেশ্য। তো চলুন এর প্রাকটিক্যালি ব্যাবহারটা দেখে নেই। যেমন- আপনি যদি গুগলে গিয়ে Health Tips লিখে সার্চ দেন তবে এরকম একটি রেসাল্ট দেখতে পাবেন –
এখানে যে ওয়েবসাইটগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলোর সবগুলোই ভাল পেজ রাঙ্কের। আর তাই আপনি যদি এই কি-ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে চান তবে ফার্স্ট পেজে আসাটা অনেক টাফ হবে। কিন্তু এই কি- ওয়ার্ড অর্থাত Health Tips এর সাথে যদি আরেকটা ওয়ার্ড যোগ করে দেন তাহলে এর রেসাল্ট অনেকটা চেন্জ হয়ে যাবে। যদি health tips for men লিখে সার্চ দেন তবে এরকম একটা পেজ চলে আসবে-
উপরের সার্চ রেজাল্টে দেখা যাচ্ছে আগের ওয়েবসাইটের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা কিছু ওয়েবসাইট চলে এসেছে। শুধুমাত্র for men কথাটা যোগ করার কারনে রেজাল্টটা পুরোপুরি চেঞ্জ হয়ে গেছে। সুতরাং কি-ওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা এভাবে লম্বা লেজ কি-ওয়ার্ড যুক্ত করার মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইটকে প্রথম পেজে নিয়ে আসতে পারবো। তবে এক্ষেত্রে একটা সমস্যা হতে পারে, আর তা হল ভিজিটররা সাধারনত কমন নাম লিখে সার্চ দেয়। যেমন Health Tips লিখে যে পরিমান সার্চ পরবে health tips for men এর নামে সার্চ পরবে তার থেকে অনেক কম। তবে যদিও মানুষ এটা লিখে তুলনামুলক কম সার্চ দিবে তথাপি এই কি-ওয়ার্ড নিয়েও যদি আপনি গুগলের প্রথম পেজে আসতে পারেন তাতেও কিন্তু কম লাভ হবে না। এমনকি আপনি যদি এসইও’র টেকনিক গুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন তবে Health Tips লিখে সার্চ দিলেও আপনার ওয়েবসাইট চলে আসতে পারে। এটা একটা বাড়তি সুবিধা বলতে পারেন। আবার men এর জায়গায় women লিখে সার্চ দিলে আপনি আরো ভিন্ন রেজাল্ট দেখতে পাবেন। এভাবে প্রতিটি কি-ওয়ার্ড এর ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা রেজাল্ট দেখতে পারবেন। আর এভাবেই Long Tail Keyword ব্যাবহার করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে ভাল পেজ রাঙ্কে নিয়ে আসতে পারবেন।